Thursday, April 10, 2014

এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে?ওয়াশিংটনে ঈশ্বরের মৃত্যুঘোষণার আগেই নূতন ঈশ্বর রপ্তানী এবং আমরাই তাঁর প্রাণ প্রতিষ্টা করছি সর্বশক্তি দিয়ে!

এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে?ওয়াশিংটনে ঈশ্বরের মৃত্যুঘোষণার আগেই নূতন ঈশ্বর রপ্তানী এবং আমরাই তাঁর প্রাণ প্রতিষ্টা করছি সর্বশক্তি দিয়ে!

India’s Narendra Modi should build on his successes, not his prejudicial rhetoric:Washington Post


এক্সকেলিবার স্টিভেন্স বিশ্বাস

এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে?ওয়াশিংটনে ঈশ্বরের মৃত্যুঘোষণার আগেই নূতন ঈশ্বর রপ্তানী এবং আমরাই তাঁর প্রাণ প্রতিষ্টা করছি সর্বশক্তি দিয়ে


রাম মন্দির ইস্যু আকড়ে ধরেই ভারতের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করলো বিজেপি। ইশতেহারের ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীর ধর্মীয় উগ্রনীতিকেই প্রধান্য দিয়েছে দলটি। এ নিয়ে অন্য দলগুলোসহ দেশটির সুশীল ও প্রগতিশীলরা সমালোচনা করছে এই ইশতেহারের।
ইশতেহার নিয়ে এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণকেই হাতিয়ার করে নির্বাচনী ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দিল বিজেপি। অনেক দেরিতে অর্থাৎ প্রথম দফার ভোটের দিন নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে বিজেপি জানালো, সংবিধান মেনেই রামমন্দির নির্মাণ করা হবে।
এই রাম মন্দির ইস্যু নিয়েই ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিলো। সেই ইস্যুটিকে আবারো সামনে নিয়ে এলেন মোদি।
এবার ইশতেহারে বিজেপির নতুন স্লোগান হলো 'এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত'। কিন্তু এদিন রাজধানীতে রামমন্দির নির্মাণের ঘোষণা হতেই কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই-এর মতো বিরোধী দলগুলো বিজেপির নীতির সমালোচনা করেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ ও ২০০৯ লোকসভা ভোটের ইস্তাহারে বিজেপি রামমন্দির ইস্যু রাখেনি। নরেন্দ্র মোদির চাপেই দল এবার উগ্র হিন্দুত্বের পথে হেঁটে পুরোনো রামমন্দির ইস্যুকে আঁকড়ে ধরেছে।

নরেন্দ্র মোদী :গণতন্ত্রের ছায়া আরও দীর্ঘ

এই এপ্রিল-মে মাস জুড়িয়া ভারতে অনুষ্ঠিত হইবে লোকসভা নির্বাচন। বিশ্বের 'সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের গণতন্ত্রের' দেশে প্রধানমন্ত্রী কে হইবেন, তাহা লইয়া রহিয়াছে কৌতূহল বিস্তর। সেই কৌতূহল আরও তীব্র হইয়াছে, যখন বিবিধ জরিপে আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উঠিয়া আসিয়াছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-এর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর নাম। তিনি গুজরাটের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং অতীতে, মাত্র এক যুগ পূর্বে এমন একটি অভিযোগের কলঙ্কে ডুবিয়াছিলেন—যাহার সহিত 'গণতন্ত্র' এককাতারে দাঁড়াইতে পারে না। গুজরাটের সামপ্রদায়িক দাঙ্গায় তাহার প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সন্দিহান হইয়াই যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন তাহাকে ভিসা দেয় নাই। কেননা, মার্কিন ইমিগ্রেশন ও ন্যাশনালটি অ্যাক্ট অনুযায়ী—সেই সব বিদেশি রাজনীতিবিদদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না, যাহাদের বিরুদ্ধে মানুষের অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করিবার অভিযোগ থাকে।

কিন্তু নানা কারণে ভারতের জনমতস্রোত অনেকটাই মোদী-অভিমুখে অধিক বেগবান বলিয়া প্রচারযন্ত্রে দেখা যাইতেছে। তাত্পর্যপূর্ণভাবে বিজেপি হইতে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন প্রাপ্তির পর মোদীকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে রিপাবলিকান পার্টির সদস্য কেটি ম্যাকমরিস রজার্স অভিনন্দনও জানাইয়াছিলেন। গত বত্সর সেপ্টেম্বরে দ্য ইকোনমিক টাইম্স-এর এক সমীক্ষায় দেখা গিয়াছে, ভারতের যেই সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পদমূল্য ৫০০ কোটি টাকার অধিক, সেই সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের ৭৪ শতাংশই মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখিতে চান। মোদীর পক্ষে জোর প্রচারণা রহিয়াছে যে, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে গুজরাটকে তিনি অর্থনৈতিক উত্কর্ষের মডেলে পরিণত করিয়াছেন। একই ভাবে তিনি গুজরাটকে অচিরেই সর্বভারতীয় উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে দাঁড় করাইতে পারিবেন বলিয়া তাহার প্রচারযন্ত্র উচ্চনিনাদে বাজিয়া চলিতেছে। কিন্তু এই উন্নয়ন মডেলের বিপরীত কথাও শোনা যাইতেছে সমানতালে। গুজরাট-উন্নয়নচিত্র যে শুভঙ্করের ফাঁকি, তাহার ভিতরটা যে ফাঁপা—তাহারও চুলচেরা বিশ্লেষণ দেখা যাইতেছে ভারতীয় পত্রপত্রিকায়। নরেন্দ্র মোদীর প্রধান প্রতিপক্ষ ভারতীয় কংগ্রেস দলটি স্বাভাবিকভাবেই জোর দিয়া চলিয়াছে ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির উপর। দশ বত্সর ধরিয়া ক্ষমতাসীন কংগ্রেস উন্নয়নের প্রশ্নে নিজেরা শরবিদ্ধ হইবার পাশাপাশি বিজেপিকে বিদ্ধ করিতেছে তাহাদের সামপ্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিকে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী গত সোমবার নির্বাচনী প্রচারণায় তাই দ্ব্যর্থহীনভাবে বলিয়াছেন—এই নির্বাচন শুধু দেশের উন্নয়নের লড়াই নয়, বরং ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার লড়াই। প্রকৃতপক্ষে, 'হিন্দু' এবং 'মুসলমান' হিসাবে দ্বিজাতি-তত্ত্বের উপর ভিত্তি করিয়া যে ভারত স্বাধীন হইয়াছে, তাহার রাজনীতিতে ঐতিহাসিকভাবে ধর্ম এবং সামপ্রদায়িকতার প্রভাব অগুরুত্বপূর্ণ হয় নাই। যেই কারণে বিজেপি একাধিকবার ক্ষমতাসীন হইতে পারিয়াছে। পাশাপাশি ইহাও সত্য যে, গণতন্ত্রের দীর্ঘ ছায়াতলে সকল মানুষ সমান। সেই গণতন্ত্রকে, স্বাধীনতার পর হইতে প্রায় নিরবচ্ছিন্নভাবে, বিশ্বের অন্যতম 'সৌন্দর্য' হিসাবে নিজের দিকে মুগ্ধদৃষ্টি সৃষ্টি করিয়াছে ভারত। ভারতের সংবিধানে যে ধর্মনিরপেক্ষতার উল্লেখ রহিয়াছে, তাহারই মহাশক্তি একঅর্থে ভারতবর্ষকে একতাবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল রাখিয়াছে। গত ৬৭ বত্সর ধরিয়া সেই সৌন্দর্য ও শক্তি ভারতের জমিনের গভীর হইতে অতি গভীরে প্রোথিত হইয়াছে।

ইহাই সর্বাধিক তাত্পর্যের। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও তাহারাই অতীত কৃতকর্মের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে প্রতিনিয়ত জর্জরিত করিতেছে সহস্র প্রশ্নবাণে। গণতন্ত্রে জবাবদিহিতার যে বহুস্তর 'ফিল্টার' রহিয়াছে, তাহা মোদীকে বিব্রত করিয়া চলিতেছে নিরন্তর। 'ধর্ম ও সামপ্রদায়িকতা' মোদীর তাস হইলেও ন্যায়নিষ্ঠতা ও কল্যাণকর দৃষ্টিভঙ্গির প্রশ্নে তাহাই তাহার গলার কাঁটা হইয়া উঠিতেছে। তাই, নরেন্দ্র মোদী আগামীতে ক্ষমতায় আসীন হইলেও তাহার ছায়া গণতন্ত্রের সৌন্দর্যকে নিষ্প্রভ করিতে পারিবেন না। বরং গণতন্ত্রের দীর্ঘ ছায়ায় ও মিথষ্ক্রিয়ায় মোদী-চরিত্রের 'রসায়ন'ই পরিবর্তিত হইয়া যাইতে পারে।

লোকসভা ভোটের প্রচারে দ্বিতীয়বার রাজ্যে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক সুর বদল করলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। এদিন শিলিগুড়িতে তাঁর জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। এ রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর শুধু নামেই পরিবর্তন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নতুন সরকারের জমানায় আদতে কোনও পরিবর্তনই হয়নি বলে দাবি নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদীর।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেডের সভায় তৃণমূল নেত্রীর সম্পর্কে বেশ নরম সুরেই কথা বলেছিলেন মোদী। এমনকি বাংলায় দিদি এবং দিল্লিতে বিজেপির ডাকও দেন তিনি। এর ফলে সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির সম্ভাব্য রসায়ন নিয়ে একটা জল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু এতে টলেননি মমতা। তাঁর একের পর এক জনসভায় নিয়ম করে মোদী সম্পর্কে বিষোদগার করে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মোদীকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে গুজরাট দাঙ্গার জন্য তাঁকে দায়ী করেছেন তিনি। তৃণমূল নেত্রীর লাগাতার আক্রমণের মুখে এদিন পাল্টা সুর চড়ান নমো।

মোদী বলেছেন, "বাংলায় যখন সরকার পরিবর্তন হল, আমি ভেবেছিলাম এবার এখানে উন্নয়ন হবে। কিন্তু সেরকম কিছুই হল না। এরা শুধুই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে।" নমো আরও বলেছেন, "আমার সমালোচনা না করলে তো ওঁরা খাবার হজম হয় না। মুখ্যমন্ত্রীজি, আপনি যতই কাদা ঘাঁটবেন, ততই পদ্মফুল ফুটবে।" উপস্থিত জনতার প্রতি তাঁর জিজ্ঞাসা, "দু-বছর হয়ে গিয়েছে, এ রাজ্যে নতুন সরকার দায়িত্বে এসেছে। আপনারা কি সত্যিই কোনও পরিবর্তন দেখতে পেয়েছেন?" সারদা কেলেঙ্কারির বিষয়ে উল্লেখ করে মোদীর অভিযোগ, "সাধারণ মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। কেন্দ্রে শক্তিশালী ও উন্নয়নকামী সরকার ক্ষমতায় এলে সবদিকেই নজর রাখবে।

মোদীর আক্রমণের এদিন পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়ান। মোদীর সঙ্গে রক্তস্নান জড়িয়ে আছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমন একজনকে দেশের মানুষ কখনোই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকার করবেন না বলে দাবি করেছেন ডেরেক।

THE WORLD’S biggest democratic election began Monday. The result, for better or worse, is easy to foresee. Polls show India’s Bharatiya Janata Party and its leader, Narendra Modi , beating the ruling Congress Party by as much as 3 to 1 among the more than 800 million people eligible to cast ballots over the next five weeks. The charismatic and hard-charging Mr. Modi promises big change for India, which for the past decade has drifted under the ineffectual Congress government of Manmohan Singh. India and the outside world can only hope that the country’s new administration will reflect Mr. Modi’s considerable strong qualities more than his equally outstanding failings.
The promise of Mr. Modi, and the reason for his wide lead in the polls, is clear: a tough, practical and corruption-free record of economic management. As chief minister of Gujarat state, Mr. Modi has overseen growth averaging 10 percent a year over the past decade, significantly higher than for the country as a whole. His success rests on smart investments in infrastructure, business-friendly policies and openness to foreign capital.

গুজরাত মডেলের উন্নয়নকল্পে গুজরাতের মতই সারা দেশে শ্রম আইন শেষ করার ডাক দিয়ে নমো বিজয় পতাকা উত্তোলিত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে,আমরা পশ্চিম বঙ্গে ও দেশের প্রায় চারশোর বেশি লোকসভা আসনে ভোটের লাইনে দাঁড়াবার আগেই
1991 সালে মাননীযঅসোক মিত্র মহাশয়ের দাবি অনুসারে আমেরিকা রপ্তানী করেছিল ওয়াসিংটন থেকে যে অর্থমন্ত্রী তাঁকে নবউদার মুক্তবাজারের ঈশ্বর মেনে নিয়ে তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বে সংস্কারের নামে সর্বব্যাপী ধ্বংসযগ্যে পূর্ণাহুতি দিয়ে কৃষিজীবনআধার বলি দিয়েছি আমরা জল জমি জঙ্গল নাগরিকত্ব জীবন জীবিকা স্বাধীনতা মানবাধিকার বলি দিয়েছি সর্বনাশী উন্নয়নের জন্য
সংস্কারে আমেরিকার স্বার্থ চরিতার্থে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ সেই ঈশ্বরের মৃত্যুঘোষণা করে নূতন ঈশ্বর আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে আবার সেই আমেরিকা
মার্কিন এই  উপনিবেশে আমাদের আধার আঁধার নাগরিকত্বের বহর হল এই আত্মধ্বংসের অঙগীকার
বাংলার মাটি এখন গেরুয়া
পেয়াল্লিশটি সীটেই গৈরিক পতাকার দাপাদাপি
দিদিকে পাশে না পেয়ে নকল পরিবর্তনের বদলে আসল পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বাংলাকে গুজরাত বানানোক সুযোগ দিচ্ছে কারা,ভাবতে হয়
ভাবতে হবে দেশবাগের বলি পূর্ব বঙ্গের উদ্বাস্তুদের জন্য,যাদের নাগরিকত্ব থেকে বন্চিত করার জন্য নাগরিকত্ব  আইন প্রণয়ন করেছে এই বিজেপি
আবার মোদী কলকাতার বুকে দাঁড়িয়ে উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধে বিষবমি করে গেছেন
অন্যদিকে আবার আসামে হিন্দু সরণার্থীদের প্রতি দরদ উথলে উঠল
আসামের একটি জনসভায়  ভারতের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু অভিবাসীদের অবশ্যই ভারতে জায়গা দিতে হবে। তাঁর দল ক্ষমতায় এলে অভিবাসীদের ডিটেনশন ক্যাম্প তুলে দেওয়া হবে।
ভারতের আসাম রাজ্যের রামনগরে একটি সমাবেশে মোদী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসা মাত্র বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা হিন্দু অভিবাসীদের জন্য তৈরি ডিটেনশন ক্যাম্পগুলো তুলে দেওয়া হবে।‌’
মোদী আরো বলেন, ‘অন্যদেশগুলোতে নিপীড়নের শিকার হওয়া হিন্দুদের প্রতি আমাদের কর্তব্য আছে। তারা কোথায় যাবে? ভারতই তাদের একমাত্র গন্তব্য। আমাদের সরকার তাদের প্রতি নিপীড়ন অব্যাহত রাখতে পারে না। আমরা তাদের এখানে জায়গা করে দেব।‌’
মোদী বলেন, বাংলাদেশ থেকে দুই ধরনের মানুষ আসামে আসে। একদলকে আনা হয় ভোট বাড়ানোর জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে। আরেক দল প্রতিবেশী দেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসে। যাদের ভোট বাড়াতে আনা হয়, তাদের পুশব্যাক করা উচিত। দ্বিতীয় কারণে যারা আসে তাদের এখানে জায়গা দেওয়া উচিত।
মোদী বলেন, ‘আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা বাংলাদেশি অত্যাচার সহ্য করে যাবেন নাকি এর অন্ত ঘটাবেন। আমার ওপর আস্থা রাখুন। আমরা ক্ষমতায় আসামাত্র এসব সমস্যা সমাধানের আশু ব্যবস্থা নেব।‌’



বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব নরেন্দ্র মোদী

অমিতাভ ভট্টশালী
বিবিসি বাংলা, কলকাতা
সর্বশেষ আপডেট বুধবার, 5 ফেব্রুয়ারি, 2014 15:29 GMT 21:29 বাংলাদেশ সময়
ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় এক নির্বাচনী জনসভায় বলেন, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের জন্য স্থানীয় মানুষরা চাকরী সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
নির্বাচনের আগে বিজেপি এবং অন্যান্য কট্টরপন্থী দলগুলোর প্রচার প্রচারণায় বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা শোনা যায়।

সম্পর্কিত বিষয়

এবারও একই সুর শোনা যাচ্ছে বিজেপির কণ্ঠে।
"পশ্চিমবঙ্গ হোক বা আসাম, বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশের ফলে দুই রাজ্যেই সমস্যা বাড়ছে। ভারতীয় যুবক-যুবতীদের অন্ন সংস্থানের সুযোগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে"
নরেন্দ্র মোদী, ভারতে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী
এর আগেও, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মি. মোদীর নাম ঘোষিত হওয়ার পরে প্রথম জনসভায় দক্ষিণ ভারতের শহর হায়দরাবাদেও তিনি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গে অনেকটা সময় ব্যয় করেছিলেন।
কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আজকের (বুধবারের) ওই জনসভায় মি. নরেন্দ্র মোদী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ হোক বা আসাম, বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশের ফলে দুই রাজ্যেই সমস্যা বাড়ছে। ভারতীয় যুবক-যুবতীদের অন্ন সংস্থানের সুযোগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।“
জনসভায় এ বক্তব্য দেওয়ার সময় উপস্থিত বিজেপি সমর্থকদের হাত তুলে সমস্বরে মি মোদীর বক্তব্যে সায় দিতে দেখা গেছে।
পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্য আসামে মি. মোদীর দল বিজেপি সবসময়েই বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সরব।
এ প্রশ্নেই অসমীয়া জাতীয়তাবাদী দল আসাম গণপরিষদের সঙ্গে প্রায় একই সুরে কথা বলে থাকে বিজেপি।
ছিটমহল বিনিময়ের প্রোটোকল চুক্তি ভারতের সংসদে পাশ না করাতে দেওয়ার ক্ষেত্রেও বি জে পি বলে থাকে এমনিতেই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ছিটমহল বিনিময় হলে সেই অনুপ্রবেশ আরও বাড়বে বলে যুক্তি দিয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গের বি জে পি।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মি. মোদীর শেষ উক্তি, “উন্নয়নের সুফল হোক বা চাকরী – সবই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের হাতে চলে যাচ্ছে।“
http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2014/02/140205_samodi.shtmlবাংলাদেশ থেকে আসা ‘হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের সব রাজ্যেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুনর্বাসন করা হবে’ – বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী এই আশ্বাস দেওয়ার পর – কংগ্রেসও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে।
আসামের শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতা ভুবনেশ্বর কলিতা বিবিসি-কে বলেছেন, হিন্দু শরণার্থীরা যাতে ন্যায় পান তার জন্য বিজেপির অনেক আগে থেকেই তাদের সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে রাজনীতির বাইরের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়টি মূলত অর্থনৈতিক, তাই রাজনীতির দৃষ্টিকোণে এটিকে দেখলে ভুল হবে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসা মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, কিন্তু হিন্দুরা শরণার্থী – এটা ভারতের হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি-র বহু পুরনো অবস্থান। তবে গতকাল আসামের শিলচরে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী হিন্দু শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
মি. মোদী তার ভাষণে বলেছেন, ‘দুনিয়ার যে কোনও প্রান্তে হিন্দুরা যদি নির্যাতিত হয় তাহলে তাদের তো আসার একটাই জায়গা আছে – আর সেটা হল হিন্দুস্তান বা ভারত।’
ফলে তার যুক্তি, ‘বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে যে হিন্দুরা এদেশে আসছেন – তাদের শুধু আসামে নয়, গোটা ভারত জুড়ে আশ্রয় দিতে হবে, পুনর্বাসন করতে হবে। বাংলাদেশে তাদের ওপর যে ধরনের অত্যাচার চলছে, আমরা তো তাদের ওপর সেই একই জিনিস করতে পারি না!’
মি. মোদী আরও কথা দিয়েছেন যে তার দল ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য শিবিরগুলি গুটিয়ে ফেলে সমাজের মূল স্রোতে তাদের ঠাঁই করে দেওয়া হবে।
তার এই ভাষণের পর আসামে ও কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসও নির্বাচনের আগে হিন্দু আবেগকে উপেক্ষা করতে পারছে না।
আসামে দলের অন্যতম প্রধান নেতা ও এমপি ভুবনেশ্বর কলিতা বিবিসি-কে যেমন বলছিলেন, নরেন্দ্র মোদীর অনেক আগে থেকেই রাজ্যের কংগ্রেস সরকার হিন্দু শরণার্থীদের স্বার্থে লড়ছে।
মি. কলিতার কথায়, ‘বাংলাদেশী শরণার্থীরা যাতে ন্যায় পান আমরা তার পক্ষে বহুদিন ধরেই। আমাদের রাজ্য সরকার ও বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ তাদের জন্য সেই ২০০৯ থেকেই বহু সুবিধা ঘোষণা করে আসছেন। নরেন্দ্র মোদীর ঘুম ভেঙেছে অনেক দেরিতে, কিন্ত তার কথাকে আমরা আমল দিচ্ছি না।’
কিন্তু আসাম সরকারও কি বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে বৈষম্য করছে না? মি কলিতা অবশ্য তা মানতে রাজি নন।
তার বক্তব্য, ‘অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়টা আলাদা। যারা বাংলাদেশ থেকে বাধ্য হয়ে চলে আসছেন – আমরা তাদের প্রতি সুবিচার করতে চাই। এখানে প্রশ্নটা হিন্দু-মুসলিমের নয়, আর এখানে কোনও বৈষম্যেরও প্রশ্ন উঠছে না।’
কিন্তু অনুপ্রবেশের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে রাজনীতি যে আসছেই – তা স্পষ্ট বিজেপি ও কংগ্রেস, দুদলের বক্তব্যেই।
দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে তা এড়ানোও হয়তো কঠিন, কিন্তু ভারতের সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জি কে পিল্লাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বাংলাদেশ থেকে তথাকথিত অনুপ্রবেশের পেছনে মূল কারণটা কিন্তু অর্থনৈতিক!
মি. পিল্লাই বিবিসিকে বলছিলেন, ‘আসামে যেখানে নমুনা জরিপে বাংলাদেশীদের পাওয়া গেছে সব ক্ষেত্রেই তারা কিন্তু এসেছে চাষাবাদ বা অন্য কাজের সন্ধানে। করিমগঞ্জ এলাকায় যেমন প্রতিদিন শত শত বাংলাদেশী সীমান্ত পেরিয়ে আসেন, সারাদিন রিক্সা চালিয়ে আবার রাতে ফিরে যান। এরা সবাই বাংলাদেশী নাগরিকই থাকছেন, কাজ করছেন ভারতে!’
মি. পিল্লাইয়ের মতে, যেভাবে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় উপসাগরীয় দেশগুলোতে গিয়ে কাজ করেন, অর্থনীতির সেই সহজ নিয়মেই বাংলাদেশীরাও পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে কাজ খুঁজতে যান।
কিন্তু তাদের বৈধ ওয়ার্ক পারমিট বা সীমান্ত পেরোনোর ছাড়পত্র থাকে না প্রায় কোনো ক্ষেত্রেই। অনুপ্রবেশ নিয়ে ধর্মের রাজনীতি না-করে এই বাংলাদেশীদের ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থা করা গেলে বরং অর্থনীতি অনেক লাভবান হবে – এমনটাই অভিমত অনেক পর্যবেক্ষকের!- বিবিসি।

বিডিলনিউজঃmodi
নিজেকে অবিবাহিত দাবি করা ভারতের বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি বিবাহিত।
তিনি বলেছিলেন, আমি অবিবাহিত। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে আমিই সবচেয়ে উপযুক্ত। এখন নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় দেখা যায় তা সত্য নয়। তিনি বিবাহিত, তার স্ত্রীর নাম জশোদাবেন। শুধু তাই নয়। ১৭ বছর বয়সেই সমবয়সী জশোদাবেনের সঙ্গে শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ হয়েছিলেন মোদি।
ভাদোদারা লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আজ তিনি হলফনামায় এ তথ্য পেশ করেন। এর আগে ২০০১, ২০০২, ২০০৭ ও ২০১২ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় স্বামী/স্ত্রীর কলামটা ফাঁকাই রেখেছিলেন তিনি।
স্ত্রীর নামে কি পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, সে কলামটিতে মোদি লিখেছেন এ ব্যাপারে তার কাছে কোন তথ্যই নেই।
এ বিষয়ে এখনও কোন মন্তব্য করেনি কংগ্রেস বা আম আদমী পার্টি।

Showing a strong global interest in India's general elections, over a dozen global financial giants, including Goldman Sachs, HSBC and Citigroup, are keeping a close tab on these polls and are analysing the likely economic impact of different possible outcomes.

The unprecedented interest shown by these international financial services firms in the ongoing elections, which is the biggest ever electoral exercise in the world, largely stems from India's emergence in the last few decades as a major centre — both politically as well as economically — on the global landscape.

These firms also include Bank of America Merrill Lynch, Nomura, Barclays, UBS, CLSA, BNP Paribas, RBS, Deutsche Bank, Credit Suisse, Morgan Stanley and JP Morgan.

India, which has a huge market thanks to its large population, is expected to become the third largest economy globally in the next few decades. A change in leadership at the central level, along with changes in policies of the government, will have a direct repercussion on global front.

Most of the global financial services majors believe that Narendra Modi, the prime ministerial candidate of the BJP, is a clear front runner and describe him as more business friendly, shows an analysis of surveys conducted by these firms for internal use and for the benefit of large clients.

The observations assume significance as they come at a time when a political debate is underway on the comparison between so-called growth model of Modi-led Gujarat and that of other states ruled by Congress and other parties.

BJP is trying to wrest power from Congress at the Centre. Giving a thumbs up to the Gujarat business model, a Goldman Sachs study said that 40 million new manufacturing jobs can be created in a decade if states follow flexible labour laws like in Gujarat.

In November 2013, Goldman Sachs had came under sharp attack from government and the Congress over upgrading Indian markets on a likely Narendra Modi election win.

Analysing the Indian elections, economists from leading foreign fund houses like Credit Suisse, BNP Paribas and Bank of America Merrill Lynch said that Indian economy is much more dependent on the global economic cycle than who rules in New Delhi.

Economists have broadly listed four post-poll scenarios and their possible repercussions on the Indian market. The four scenarios are — Modi-led NDA government with two-three allies; Modi-led NDA government with five-six allies; other leader led-NDA government with 8-10 allies or a Third Front government supported by Congress.

Some of the recent surveys suggest the BJP-led National Democratic Alliance coalition has solidified its lead and is now poised to emerge as the largest coalition. According to a BofA-ML report, the BJP-led NDA has a "fighting chance in around 425 of the 543 seats", but it did not predict a final tally.

BofA-ML, in a separate report, further said that in the upcoming general elections the key states that are likely to shape the next government are UP, Maharashtra, Andhra Pradesh, Bihar, and Tamil Nadu as these are potential swing states where there is a multi-cornered fight.

While national issues will have a big impact on the voting pattern, local level alliances would also matter and even a small swing of votes could materially change the seat tally of the parties, they said.

"Among the key states to watch out for are UP, Andhra Pradesh, Maharashtra, Bihar, and Tamil Nadu. These states are potential swing states where there is a multi-cornered fight," Bank of America Merrill Lynch analysts led by Jyotivardhan Jaipuria and Indranil Sen Gupta said in a research note.

According to Morgan Stanley, the elections will produce a stable government, which can then take up some of these reforms in a steady fashion.

More than 800 million people are expected to cast their vote this time. Elections are being held in nine phases between April 7 and May 12 and the results would be announced on May 16.
পড়ুন আনন্দবাজার
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২৮ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের ডলার তহবিল বেড়েছে ৫০৪ কোটি ডলার। শতাংশ এবং ২.৩ শতাংশ। সুদ না-কমা সত্ত্বেও এই ধরনের উৎপাদন বৃদ্ধি অর্থবহ।
সবাই যেমন আশা করেছিলেন, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুদে এ বার হাত দেননি রঘুরাম রাজন। সুদ কমলেও কমতে পারে, এমন ক্ষীণ আশা যাঁদের মনে ছিল, তাঁরা সামান্য আশাহত হলেও এর প্রভাব কিন্তু দু’দিনের বেশি থাকেনি। সুদ না-কমলেও এটা কিন্তু স্পষ্ট হয়েছে যে, সুদ আর বাড়ছে না। সুদ বাড়া-কমার থেকে শেয়ার বাজারের কাছে এখন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন। মনমতো সরকার গঠিত হবে এই আশায় ভর করে তেজী ভাব ধরে রেখেছে   বাজার।   অর্থনীতির   দিক   থেকেও ছোটখাটো ভাল খবর আসছে, যা বাজারকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করছে।
বাজার এতটা ওঠার পরে বিক্রির চাপ আসা স্বাভাবিক। এসেছেও কিছুটা। ফলে সপ্তাহের শেষ দু’দিনে খানিকটা নেমেছে বাজার। তা সত্ত্বেও মূল দুই সূচক সেনসেক্স ও নিফটি এখনও আছে ভাল উচ্চতায়। বেশ ভাল জায়গায় উঠে এসেছে মিড ক্যাপ এবং স্মল ক্যাপ সূচকও। এর ফলে স্বস্তি জাগানো  জায়গায়  ফিরে  এসেছে  বেশির  ভাগ ইক্যুইটি  নির্ভর  প্রকল্পের  ন্যাভ।  নির্বাচনের  ফল বেরোলে কী হবে, সেই অনিশ্চয়তার দিকে তাকিয়ে বসে না-থেকে এই চড়া বাজার থেকে লাভ তুলে নিচ্ছেন অনেকেই। সুদ কমার আগে লাভের টাকা লগ্নি করছেন সুরক্ষিত স্থির আয়যুক্ত  প্রকল্পে এবং করমুক্ত বন্ডে। সোনার  দাম  কমলে  গৃহস্থ  যেমন  ভবিষ্যৎ প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে সোনা কিনে রাখেন, তেমনই ডলারের দাম কমায় একই রাস্তায় হাঁটছে ফলে  বৈদেশিক  মুদ্রার  তহবিল  বেড়ে  পৌঁছেছে ৩০,৩৬৭ কোটি ডলারে। মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র আর্থিক ত্রাণ কমানো সত্ত্বেও ভারতে ডলারের মূল্যপতনের মূল কারণ হল, বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নিপ্রবাহ বৃদ্ধি।  এর  প্রভাবে  বাড়ছে  শেয়ারের  দাম  ও মিউচুয়াল প্রকল্পের ন্যাভ, এবং অন্য দিকে কমছে ডলার এবং সোনার দাম।
শিল্পের দিক থেকে ছোট করে সুখবর আছে। ফেব্রুয়ারি  মাসে  ৮টি  মূল  পরিকাঠামো  শিল্পে উৎপাদন বেড়েছে গড়ে ৪.৫ শতাংশ হারে, যা গত ৫ মাসের মধ্যে সবথেকে বেশি। আগের বছর একই সময়ে বৃদ্ধির হার ছিল ১.৩ শতাংশ এবং ২০১৪-র জানুয়ারি  মাসে  ১.৬  শতাংশ।  সবথেকে  বেশি বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন (১০.৪ শতাংশ)। ইস্পাত এবং  সিমেন্ট  উৎপাদন  বেড়েছে  যথাক্রমে  ৪.৫ মার্চ মাসে করমুক্ত বন্ডের নতুন ইস্যু বন্ধ হওয়ার পরে খোলা বাজারে এখন শুরু হয়েছে এই সব বন্ডের লেনদেন। মুম্বই এবং জাতীয় শেয়ার বাজারের ঋণপত্র বিভাগে (ডেট মার্কেট) এখন বন্ডের ছড়াছড়ি।
শেয়ারের  মতোই  এগুলি  কেনাবেচা  করা  যায় ব্রোকারের মাধ্যমে। নতুন ইস্যু বন্ধ হওয়ায় বাজার থেকে  এই  বন্ড  কিনতে  গেলে  এখন  কিছুটা প্রিমিয়াম দিতে হচ্ছে। এই প্রিমিয়ামের মধ্যে অবশ্য আংশিক সুদও ধরা আছে। উঁচু হারে করদাতারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
গত শুক্রবার শেয়ার বাজারে নথিবদ্ধ হয়েছে সিপিএসই ইটিএফ। সম্প্রতি নতুন ইস্যুর মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হয়েছিল এই সেন্ট্রাল পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজেস  ইটিএফ  এবং  সাফল্যের  সঙ্গে সংগৃহীত হয়েছিল কমবেশি ৪,৪০০ কোটি টাকা। খুচরো লগ্নিকারীদের দেওয়া হয়েছিল ৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট। বাজারে প্রথম দিনেই ভাল সাফল্য পেয়েছে ১০টি প্রথম সারির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা-সমৃদ্ধ এই  ফান্ড।  এই  ইউনিটের  অ্যালটমেন্টের  দাম যেখানে ছিল ১৭.৪৫ টাকা, সেখানে প্রথম দিনের লেনদেনের  শেষে  বাজার  দর  দাঁড়িয়েছে  ১৯.৪০ টাকায়।  অর্থাৎ  প্রথম  দিনেই  দাম  বেড়েছে ১১ শতাংশেরও বেশি। যাঁরা ১ বছর এই ইউনিট ধরে রাখবেন, তাঁরা পাবেন ৬.৬৬ শতাংশ (প্রতি ১৫টিতে ১টি করে) বোনাস শেয়ার। ফান্ডের এই সাফল্যে সরকারও  উৎসাহিত।  আগামী  দিনে  এই  ভাবে ইটিএফ-এর মাধ্যমে আরও বিলগ্নিকরণ সম্ভব কি না, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
মোদী আমেরিকা
পড়ুন এই সময়ঃ
कभी आपने सोचा है कि कौन है असली जिम्मेदार इस महंगे दौर के लिए ? चादर उतनी ही है,फैलाते रहने की कसरत में लेकिन रात दिन की कसरत है।हमारी क्रयशक्ति के दायरे से बाहर क्यों हैं तमाम जरुरी चीजें,बुनियादी जरुरतें और सेवााएं?क्या बढ़ती हुई आबादी इसकी मूल वजह  है या संसाधनों की लूट खसोट या बेदखली का अनंत सिलसिला और यह अंधा आत्मघाती शहरीकरण है जिम्मेदार,जिसकी चकाचौंध में जल जंगल जमीन आजीविका नौकरी नागरिकता और तमाम हकहकूक से निरंतर खारिज कर दिये जाने के बाद हमारी इंद्रियों में कामोत्तेजना के सिवाय कोई अहसास ही नहीं है,खून का दरिया चारों तरफ है और हम हरियाले हुए जाते हैं, वधस्थल पर जश्न में जुनून की हद तक शामिल हैं हम इसतरह कि गला रेंता जा रहा है और किसी को कोई खबर तक नहीं  है ?क्या है कोई साजिस गहरी सी गहराती हरवक्त और हम बेखबर?

इन हालात के लिए हम और हमीं सवाल पूछे अपने आइने से मुखातिब होकर कम से कम एक दफा कि आखिरकार  हम जिम्मेदार किसे ठहराएंगे?

देश जो बेचा जा रहा है,उसके खिलाफ हम मौन हैं और धर्मोन्मादी राष्ट्रवादी ध्रूवीकरण के हम मुखर सैनिक हैं।

हम फिर फिर देश बेचो कारोबार के सरगना चुन रहे हैं बार बार।बार बार।

आत्महत्या करते किसानों की लाशें हमारे ख्वाबों में हमें मृतात्माओं का सामना करने के लिए मजबूर नहीं करतीं।

अपनों की चीखें हमें बेचैन नहीं करती।

सूखी नदियों की रुलाई हमारी दम नहीं घोंटती।

जख्मी घाटियों का दर्द हमारे हिस्से का दर्द नहीं।
कब्रिस्तान बने देहात हमारा दोहात नहीं।
यह मृत्यु उपत्यका हमारा देश नहीं ।
ग्रहांतरवासी शासक तबके के अलगाववादी समूह में चर्बीदार बनने की आपाधापी में हम भूल गये कि मनुष्यता और प्रकृति दोनों खतरे में हैं तो आखिरकार मारे तो हम भी जायेंगे।

शौतानी वैश्विक  हुकूमत के गुलाम हैं हम।

आजादी का जश्न मना रहे हैं हम। गुरुवार को देश में इकानब्वे लोकसभा चुनावों में भारी मतदान के पैमाने से हम उस जम्हूरियत की सेहत तौल रहे हैं,जिसका वजूद पहले से ही खत्म है।

हकीकत तो यह है बंधु, हमारे मताधिकार की औकात बता दी है अमेरिका ने।पांचवे हिस्से के मतदान से पहले अमेरिका में विजय पताका फहरा दिया गया है नमोमय ब्रांड इंडिया का।जिन रेटिंग एजंसियों को भारत की वृद्धि दर और वित्तीय घाटा पर चेतावनियां जारी करने से फुरसत नहीं थीं, पेशेवर नैतिकता और मुक्त बाजार के नियमों के विपरीत,राजनयिक बाध्यताओं के प्रतिकूल मोदी की जीत में भारत उदय की घोषणाएं कर रही हैं।

पलक पांवड़े बिछाकर नमो प्रधानमंत्री का इंतजार हो रहा है,उस अमेरिका में जहां कल तक अवांछित थे नमो।

जैसे कि गुजरात का नरसंहार क्या तारीख के पन्नों से सिरे से गायब हो चुका है या मानवाधिकार के अमेरिकी पैमाने भारत में अमेरिकी वसंत के कमल खिलाने के लिए सिरे से बदल दिये गये हैं,सोचना आपको यह है।

बशर्ते कि नाक आपकी सही सलामत हो,तो सूंघ सकें तो सूंघ लीजिए डियोड्रेंट और जापानी तेल में निष्णात साजिश की उस सड़ांध को जिसके तहत नईदिल्ली के साउथ ब्लाक में एक अर्थशास्त्री वित्त मंत्री का अवतार हुआ और अमेरिकी व्हाइट हाउस और पेंटागन के इशारे पर वे लगातार दस बरस तक भारत के ईश्वर बने रहे हैं।

अमेरिकी संस्थाओं ने बाकायदा बिगुल बजाकर उस ईश्वर की मृत्युघोषणा कर दी,जो जनसंहारी एजंडे को उनके जायनी एजंडे के तहत राजनीतिक बाध्यताओं के कारण उनकी तलब के मुताबिक प्रत्याशित गति और कार्यान्वयन की दिशा देने में फेल कर गये।तब उन्हें अपाहिज बताया गया और भारत में चुनाव प्रक्रिया पूरी होना तो दूर,कायदे से एक तिहाई भारत में मतदान होने से पहले ही भगवान की मौत का फतवा जारी हो गया।

हाल यह कि गोल्डमन सैक्स, एचएसबीसी और सिटी ग्रुप समेत दर्जन भर से ज्यादा वैश्विक वित्तिय कंपनियां भारत के आम चुनावों में गहरी रुचि दिखा रही हैं ।हमें इसमें साजिस की बू नहीं आ रही है।

हम गदगद है कि  वे संभावित नतीजों और उनसे होने वाले आर्थिक प्रभावों का भी आकलन कर रही हैं। वे संभावित नतीजों और उनसे होने वाले आर्थिक प्रभावाों का भी आकलन कर रही हैं। भारत के चुनावों में इन बड़ी कंपनियों की रुचि की मुख्य वजह यह है कि भारत पिछले एक-दो दशकों में राजनीतिक और आर्थिक रूप से एक बड़े केंद्र के रूप में उभरा है। भारतीय चुनाव में गहरी रचि ले रही फर्मों में बैंक ऑफ अमेरिका मेरिल लिंच, नोमुरा, बाक्र्लेज, यूबीएस, सीएलएसए, बीएनीपी पारिबा, आरबीएस, डॉयचे बैंक, क्रेडिट सुइस, मार्गन स्टैनली और जेपी मॉर्गन शामिल हैं।

समझ लीजिये कि इसका मतलब क्या है और किसके हित कहां दांव पर हैं।

सबस बड़ी बात यह है कि आबादी के कारण भारत एक बड़ा बाजार है ही ।बड़े बाजार के अलावा अमेरिकी नजरिये से भारत की कोई औकात है ही नहीं।

उत्पादन प्रणाली या उत्पादन के लिहाज से नहीं,सेवा और असंगठित क्षेत्र के हिसाब से भारत देश अगले कुछ दशकों में दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बन जाएगा।यह शर्मशसार करने वाली बात है और हम बल्ले बल्ले हुए जा रहे हैं।

मुक्त बाजार के समीकऱमों के हिसाब से  देश के नेतृत्व में बदलाव और नीतियों में तब्दीली का दुनिया भर पर सीधा असर होगा।

इनमें से ज्यादातर कंपनियों,और खासकर अमेरिकी कंपनियों  का मानना है कि बीजेपी के प्रधानमंत्री पद के उम्मीदवार नरेंद्र मोदी इस दौड़ में सबसे आगे चल रहे हैं और वह कारोबारी जगत के लिए अनुकूल रुख रखते हैं। यह बात इन कंपनियों द्वारा अपने और अपने ग्राहकों के काम के लिए कराए गए आंतरिक विश्लेषणों और सर्वेक्षणों में सामने आई है।

दूसरी ओर, हम अभी ध्रूवीकरण के खेल में मजे ले रहे हैं।बालीवूड की फिल्मों में अब वह मजा रहा नहीं है,और विवाह मंडप छोड़ती दुल्हनों, बाप तय करने की उलझन में फंसी माताओं के आईपीएल कैसिनो में दाखिल होने से पहले देश भर में अखंड सिनेमा है मीडिया का, जसके मसाले बालीवूड के मुकाबले रसीले है ज्यादा। हत्या, अपराध, बलात्कार, हिंसा, क्रांति, जिहाद,अदालत, पुलिस और कानून,धर्म,प्रवचन, परिवार,सेक्स, मनोरंजन, सितारे,जोकर और बंदर से लेकर कुत्तों तक का हैरतअंगेज हंगामा है।

ट्रेलर चलने के दौरान ही फिल्म का क्लाइमेक्स का खुलासा करके नाइट विद कपिल के कहकहे सिरे से हाइजैक कर लिया अमेरिका ने।



फिर साबित हुआ कि जनता के वोट से इस देश में कुछ भी नहीं होता।जनादेश रेडीमेड है। जिसे अमली जामा पहनाने की रस्म भर है यह वोट जश्न जिसमें कमाने वाले कमा लेंगे,मारे जाने वाले मारे जायेंगे और होगा वहीं जो खुदा की मर्जी है।होइहें सोई जो राम रचि राखा।

गौरतलब है कि अमेरिका के प्रभावशाली समाचारपत्र दि वाशिंगटन पोस्ट ने भारतीय जनता पार्टी (भाजपा) के प्रधानमंत्री पद के प्रत्याशी नरेन्द्र मोदी को सलाह दी है कि भारत को बेशक उनकी नीति पर चलने की जरूरत है, पर उन्हें पूर्वाग्रह वाले बड़बोलेपन की बजाय अपनी सफलता पर ध्यान केन्द्रित करना होगा।अखबार ने अपने संपादकीय में मोदी और भाजपा को लेकर तथाकथित धर्मनिरपेक्षतावादी आलोचकों की आपत्तियों को नजरअंदाज करते हुए कहा कि उन्होंने मुस्लिमविरोधी बड़बोलापन छोड़ दिया है। मोदी के सरकार बनाने पर लोकतांत्रिक संस्थाओं के क्षरण और धार्मिक उन्माद बढ़ने की आशंकाओं से इन्कार करते हुए अखबार ने कहा कि भारत की राजनीतिक संस्कृति ऐसे उग्रतावाद को हावी होने से रोकने में सक्षम है। अखबार ने कहा कि मोदी को लेकर आशंकाएं नई नहीं हैं। वर्ष 1998 में जब भाजपा ने पहली बार सरकार संभाली थी तब भी ऐसी ही आशंकाएं व्यक्त की गई थीं।

अखबार ने अमेरिका के ओबामा प्रशासन द्वारा मोदी की ओर दोस्ती का हाथ बढ़ाने पर प्रशंसा की है और कहा है कि यह सोचना सही है कि मोदी सांप्रदायिक भेदभाव को बढ़ाने की बजाय अर्थव्यवस्था को आगे बढ़ाने के वायदे पर काम करेगे। द वाशिंगटन पोस्ट ने मोदी को करिश्माई और कठोर परिश्रमी बताते हुए कहा कि उनके वादे भारत में बहुत बड़े बदलाव के सूचक है जबकि पिछले दशक में कांग्रेस की मनमोहन सिंह सरकार के अप्रभावी नेतृत्व के कारण भारत की हालत खस्ता हो गई है।

अखबार ने मोदी की तमाम कमियों को भी गिनाया है लेकिन कहा है कि उनके सकारात्मक पहलू ज्यादा हैं। अखबार ने उनके पहले शौचालय फिर देवालय वाले बयान को उद्धृत करते हुए कहा कि इससे पता चलता है कि वह सांप्रदायिक एवं मुस्लिम विरोधी रुख छोड़ चुके हैं।




मजे की बात है कि इन्हीं परिस्थितियों में संघ परिवार से भी हिंदुत्व के उग्र प्रवक्ता शिवसेना ने सोमवार को कहा कि अमेरिका भारतीय जनता पार्टी (भाजपा) नेता नरेंद्र मोदी के भारत के अगले प्रधानमंत्री बनने की संभावना से डरा हुआ है। शिवसेना के मुखपत्र `सामना` के संपादकीय में कहा गया है कि अमेरिका ने हाल ही में अपनी चिंता जताई है कि अगर मोदी के नेतृत्व में भाजपा सत्ता में आ गई तो अल्पसंख्यक और मुसलमान कुचल दिए जाएंगे।

अंतर्राष्ट्रीय राजनीतिक मसले पर इस संपादकीय में अमेरिका की आलोचना करते हुए कहा गया है कि भारत संप्रभु लोकतांत्रिक गणराज्य है।उन्होंने कहा कि अमेरिका को किसने इसके चुनाव और आंतरिक मसले पर बोलने का अधिकार दिया है? अमेरिका को देश के आंतरिक मसले पर बोलने का हक नहीं है।
যশোদাবেনকে স্ত্রী হিসাবে স্বীকার করলেন নরেন্দ্র মোদি
কালের কণ্ঠ অনলাইন
0
অঅ-অ+

অবশেষে কুমারত্ব ঘুচল নরেন্দ্র মোদির। ভাদোদারা লোকসভা কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা করার সময় বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী জানালেন তিনি বিবাহিত। তাঁর স্ত্রীর নাম যশোদাবেন। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া একটি হলফনামায় মোদি এই প্রথমবার নিজেকে বিবাহিত হিসাবে স্বীকার করলেন। এতদিন পর্যন্ত হলফনামায় স্ত্রী বা স্বামীর নাম লেখার জন্য নির্ধারিত স্থানটি ফাঁকাই রাখতেন মোদি। ২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনেও ওই স্থানটি ফাঁকাই রেখেছিলেন তিনি।
যদিও এইবার মনোনয়ন পেশ করার সময় হলফনামায় স্ত্রীর নাম লিখলেও তিনি জানিয়েছেন স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ কী তা তিনি জানেন না। বুধবার সকালে মোদি মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ভাদোদারা জেলা নির্বাচন কর্তৃপক্ষ তাঁর হলফনামাটি সমাহর্তলয়ের বোর্ডে মধ্যরাত অবধি টাঙিয়ে রাখে। যদিও হলফনামাটি গুজরাটের মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তার ওয়েবসাইটে এখনও আপলোড করা হয়নি।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/world/2014/04/10/71428#sthash.7tMiVVKM.dpuf

আমার স্ত্রী নেই, কার জন্য দুর্নীতি করবো’- নরেন্দ্র মোদী

আন্তর্জাতিক, সকল শিরোনাম | ৫ ফাল্গুন ১৪২০ | Monday, February 17, 2014vvvvg.jpgনিউজ বাংলাদেশ ডেস্ক :

আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)’র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি তার স্ত্রী নেই উল্লেখ করে বলেছেন, পারিবারিক বন্ধন নেই এমন ব্যক্তিই কেবল দেশে কার্যকরভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

হিমাচল প্রদেশের হামিদপুরে রোববার এক নির্বাচনী জনসভায় হিন্দিতে বক্তৃতাকালে মোদি বলেন, আমার স্ত্রী নেই। আমার কোন পরিবার নেই। আমি কার জন্য দুর্নীতি করবো?’ তিনি বলেন, আমার দেহ-মন সবকিছুই দেশের জন্য নিবেদিত।

মোদি (৬৩) অল্প বয়সে বিয়ে করেছিলেন এবং বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় এমন খবর রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তিনি কখনো কোন মন্তব্য করেননি। তিনি বিজেপি’র আদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে পারবেন না এই ভয়ে তার বিয়ের খবর গোপন করেছেন বলে কথিত আছে। আরএসএস সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিয়ে অপছন্দ করে। নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের লেখা নরেন্দ্র মোদির জীবনী থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ঘটনাক্রমে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মোদির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীও অবিবাহিত।

মোদি দুর্নীতি দমনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা বা ইউপিএ সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনাকারীদের ছিলেন পুরোধা।

India’s Narendra Modi should build on his successes, not his prejudicial rhetoric

By Editorial Board, Published: April 8





মোদি সমৃদ্ধি না ধ্বংসের দূত?

গোলাম মুর্শেদ | আপডেট: ০০:৩৯, এপ্রিল ১১, ২০১৪
ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের জন্য গত সোমবার থেকে নয় পর্বের লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। চলবে ১২ মে পর্যন্ত। প্রায় ৮১ কোটি ৪০ লাখ ভারতীয় নাগরিক এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে এই বিপুল ভোটার তো বটেই, অন্যান্য দেশের নাগরিকেরাও যথেষ্ট উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। যার প্রমাণ প্রতিদিনই মিলছে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে। তবে খবরের কেন্দ্রে আছেন একজনই। তিনি কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র দামোদারদাস মোদি।
ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়েও অল্পবিস্তর আলোচনা হচ্ছে। তবে সে আলোচনা উত্তাল হয়ে উঠছে না। কংগ্রেসের পারিবারিক নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে তা নিয়ে খুব বেশি উৎকণ্ঠা নেই। দলটির নেতৃত্ব বহু বছর ধরে নেহরু বা গান্ধী পরিবারের হাতে। এ ব্যবস্থার অবসান ঘটুক এবং সেখানে গণতান্ত্রিক ও যোগ্যতাভিত্তিক নেতৃত্ব দেওয়ার প্রথা চালু হোক, এ প্রত্যাশা খোদ কংগ্রেসের বিরাটসংখ্যক নেতার। তবে এটা নির্বাচনের প্রধান আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়নি। এমনকি কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধীও খুব একটা আলোচনায় নেই।
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, দিশাহীন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, মন্দাবস্থা, বেকারত্ব ইত্যাদিতে জনগণ ক্ষুব্ধ। আলোচনায় না আসার এটি একটি কারণ হতে পারে।
অন্যদিকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সাফল্য তাঁকে এগিয়ে দিচ্ছে তরতর করে। গণমাধ্যমগুলোর নানা জরিপ বলছে, হাওয়া এবার বিজেপির পালেই। জনগণ তো বটেই ব্যবসায়ী সমাজও চাইছে বিজেপি ক্ষমতা আসুক, এমনটাই বলা হচ্ছে গণমাধ্যমে। বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তারা বলছেন, ক্রমেই শ্লথ হয়ে আসা ভারতের অর্থনীতির চাকাকে সচল করতে মোদির কোনো বিকল্প নেই। তিনি আসবেন গেরুয়া বসনে, দেবী লক্ষ্মী ও দেবতা গণেশের আশীর্বাদ নিয়ে।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মোদি এমন এক প্রশাসন ও শিল্প কাঠামো গড়ে তুলেছেন, যা তাঁকে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের আস্থাভাজন করেছে। প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করে এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে মোদি গুজরাটকে এক মডেলে পরিণত করেছেন।
পুরো ভারত যখন অর্থনৈতিক স্থবিরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন ব্যবসায়ী সমাজের কাছে মোদিই হয়ে উঠেছেন আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। মোদি প্রধানমন্ত্রী হলে বাকি ভারতেও একই ধরনের উন্নয়ন হবে এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটবে, এমনটা প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও অর্থনীতির হিসাব বলছে, আহমেদাবাদ ও তার আশপাশের এলাকা দিয়ে পুরো ভারতের বিচার করা অনুচিত।
কিন্তু মোদির আবির্ভাবে যদি সম্পত্তি ও সমৃদ্ধির প্রচুর্য ঘটে, তবে তাতে ভারতসহ তার প্রতিবেশী দেশগুলোর উল্লসিত হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যক্তিটি মোদি বলেই উৎসাহের চেয়ে উৎকণ্ঠা জাগছে বেশি।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য গণমাধ্যমের একাংশের সহায়তায় তিনি নিজেকে যথেষ্ট উদার হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। এমনকি তাঁর ‘চিরশত্রু মুসলমানদের’ কাছেও তিনি ভালো ও বদলে যাওয়া একজন মানুষ হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে তাতে ঘাটতি আছে। তিনি আজও পরিষ্কার করেননি যে ধর্ম বিষয়ে তাঁর সরকারের অবস্থান কী হবে।
মোদির এই মুখ বুজে থাকাই আশঙ্কা জাগিয়ে দিচ্ছে। ২০০২ সালে মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন ৫৯ জন হিন্দু তীর্থযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগে দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। এতে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। সেই ঘটনা আজও মোদিকে তাড়া করে ফিরছে। এখনো যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ভিসা না দেওয়ার ব্যাপারে অনড়।
এর আগে ১৯৯০ সালে মোদি যে ‘অযোধ্যাযাত্রা’র নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেটি ভারতে নতুন করে ধর্মীয় বিদ্বেষের বীজ বপন করে। তার ফল মেলে বছর দুয়েক পরই। সে সময় দাঙ্গায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
অভিযোগ আছে, হাজার হাজার সংখ্যালঘু মুসলমানদের হত্যার পেছনে মোদির হাত আছে। তিনি প্রশ্রয় দিয়েছেন বলেই, অত বড় ঘটনা ঘটতে পেরেছে। দিনের পর দিন তিনি হিন্দু ধর্ম বাদে বাকি ধর্মগুলোর বিষয়ে বিদ্বেষ ছড়িয়ে উগ্র হিন্দুবাদীদের মদদ দিয়েছেন এবং তাদের উগ্রতর করে তুলতে সাহায্য করেছেন।
মোদির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের একটিও কিন্তু আদালতে টেকেনি। বারবার তদন্ত হওয়ার পরও প্রমাণ করা যায়নি যে তিনি এসব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঘটনাগুলোর সময় অথবা তার কিছুদিন পরে হয় তিনি নয়তো তাঁর দল ক্ষমতায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সে সময় তাঁর সম্পৃক্ততার সব প্রমাণ সুকৌশলে ধ্বংস করা হয়েছে। আর প্রমাণ পাওয়া না গেলেও মোদি হরহামেশা এমন কথা বলে আসছেন, যাতে তাঁকে হিন্দু মৌলবাদী ও চরম অসহিষ্ণু ছাড়া আর কিছু বলে মেনে নেওয়া যায় না।
এমন একজন ব্যক্তিকে বহু জাতি-বর্ণ-ভাষার একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করাটা কেবল ঝুঁকির বিষয়ই নয়, ভয়াবহও বটে। তারপরও বিভিন্ন গণমাধ্যমের জরিপ বলছে, মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছেন। যদি তা সত্যি হয়, তবে এটাই প্রত্যাশিত হবে যে মোদি নিজেকে নিরপেক্ষ ও যোগ্য বলে প্রমাণিত করবেন। তিনি যে ধর্মের পরিমণ্ডল ছেড়ে একটি মানবিক দুনিয়ার দিকে যেতে চাইছেন, সেটি কেবল কথায় নয়, কাজে প্রমাণ করতে হবে।
তার আগ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদিকে বিচারের পথ একটাই—তাঁর অতীত কৃতকর্ম। মোদি যা করে থাকেন, তাতে পুরো ভারত আহমেদাবাদ হবে কি না, সেটি বলা মুশকিল। তবে নানা আশঙ্কা যে তীব্র হচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

Wed, 05 Feb, 2014 12:52:49 AM
প্রণব চট্টোপাধ্যায়
ভারতীয় রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতার বিপদ যে কতখানি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তা বিভিন্ন সময়ে সপ্রমাণিত। ১৯৪৭ সালে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পরিণতিতে ধর্মীয় বিভাজনের পথ বেয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল  জন্মভূমি। কিন্তু তারপরও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অবসান ঘটেনি। ১৯৬১ সালে জব্বলপুর দাঙ্গা, ১৯৬৭ সালে রাঁচির দাঙ্গা, ১৯৬৯ সালে আমেদাবাদ দাঙ্গা, ১৯৭০ সালে বম্বে-ভিওয়ান্দির দাঙ্গা, ১৯৬৯ সালের জামশেদপুর দাঙ্গা, ১৯৯২-৯৩ সালে মুম্বাই দাঙ্গা, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গা প্রভৃতি ঘটেছে। এছাড়া ১৯৮৯ সালে বিজেপি সভাপতি লালকৃষ্ণ আদবানির বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে সেইখানেই রামমন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে যে রথযাত্রা (আসলে তা ছিল রায়ট যাত্রা বা দাঙ্গা যাত্রা) সংগঠিত হয়, তাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটে। নিহত হয় কয়েকশো মানুষ।

এইসব দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠিত হয়। প্রতিটি কমিশনের প্রতিবেদনেই তথ্য প্রমাণসহ দেখানো হয়েছে যে, কিভাবে দাঙ্গার পূর্বে বা দাঙ্গার সময়ে সমগ্র পরিবেশকে বিষাক্ত ও কুলষিত করে তোলা হয়েছে। আর এস এস, জনসঙ্ঘ (পরে বিজেপি) শিবসেনা, হিন্দু মুন্নানি, ভিএইচপি বা বজরঙ দলের হিন্দু সাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলি এই অপকর্মে যুক্ত ছিল। বিশিষ্ট গবেষক প্রভা দীক্ষিত তার ‘কম্যুনালিজম স্ট্রাগল ফর পাওয়ার’ শীর্ষক গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে, সাম্প্রদায়িকতার সাথে ক্ষমতার প্রশ্ন জড়িত। এর মধ্যে আর্থিক ও রাজনৈতিক উভয় ধরনের ক্ষমতাই রয়েছে। বস্তুতপক্ষে স্বাধীনতার পূর্বে সংগঠিত বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় এই প্রবণতা যে যথেষ্ট মাত্রায় সক্রিয় ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাধীনতার পর মুসলিম সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের কাছে ক্ষমতা দখলের প্রসঙ্গটির আর কোনো বাস্তব ভিত্তি ছিল না। কিন্তু হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভূ আর এস এস ভারতবর্ষকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে। এরই পথ ধরে স্বাধীনতার পরবর্তীকালে পূর্বোক্ত দাঙ্গাগুলি সংগঠিত করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা চলে যে ১৯৯২ সালে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রতীক সাড়ে চারশো বছরের পুরানো বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারীরা ১৯৯৮ সাল থেকে দু’দফায় একটানা ছয় বছর কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় আসীন ছিল। আবার ২০০২ সালে গুজরাটের সংখ্যালঘু নিধন যজ্ঞের প্রধান নেতা নরেন্দ্র মোদী এই পথ ধরেই এক দশকের বেশি সময় রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন রয়েছেন। এখন তিনি আগামী ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি’র পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়েছেন। তার নাম ঘোষিত হওয়ার জল্পনা-কল্পনা শুরু হয় গত বছরের প্রথম থেকেই, চূড়ান্ত হয় জুন মাসের মাঝামাঝি নাগাদ।

এক তথ্যে দেখা যায় যে, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সারা দেশে অন্তত দেড় হাজারের বেশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটেছে। এইসব দাঙ্গায় নিহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ, আহত কয়েক হাজার। যে সব রাজ্যে এই সব দাঙ্গা সংগঠিত হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আসামের শিলচর (২৫ আগস্ট), মধ্য প্রদেশের ইন্দোর (২০ আগস্ট), বিহারের নোয়াদা/বেটিআহ (১০ই আগস্ট), জম্মুর কিস্টহার (৯ই আগস্ট) উত্তর প্রদেশের মীরাট (৬ এপ্রিল), উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগর (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) প্রভৃতি। এর  মধ্যে মুজফ্ফরনগরের দাঙ্গায় পুলিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫২ জন মানুষ খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৭ জন মুসলিম এবং ১৫ জন হিন্দু। পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে যাদের অধিকাংশই মুসলমান। গত বছরের ১৬ জুন বিহার মন্ত্রিসভা থেকে বিজেপি বেরিয়ে আসার পর রাজ্যব্যাপী সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। এর সাথে যুক্ত হয়েছে সাম্প্রতিক চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র ‘সাফল্য’।

একে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি’র ভাবমূর্তি নির্মাণে দেশী-বিদেশী সংবাদপত্রগুলি আদাজল খেয়ে আসরে নেমেছে। প্রচারের লক্ষ্য হলো এই যে, ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয় এবং নরেন্দ্র মোদীর জয় অনিবার্য। পশ্চিমবঙ্গের স্বঘোষিত প্রথম শ্রেণীর দৈনিকটি ‘মুখ খুলিলেই’ শীর্ষক সম্পাদকীয়তে ৩০ জানুয়ারি নিদান হেঁকেছে ‘‘লোকসভা নির্বাচন আসিতেছে। কংগ্রেস ফের জিতবে, এমন দুরাশা সম্ভবত দশ জনপথেও নাই।’’ এর দু’দিন পর ‘যুবরাজতন্ত্র’ শীর্ষক সম্পাদকীয়তে (১লা ফেব্রুয়ারি) লেখা হয়েছে ‘ঈশ্বর যাহার সর্বনাশ করিতে চাহেন, প্রথম তাহার বুদ্ধি কাড়িয়া লন, এমন একটা কথা জানা ছিল। মনমোহন সিং-এর সরকার যাহা কিছু করিতেছে, তাহার প্রত্যেকটিতে বুদ্ধি এবং বিবেচনাবোধের ভয়াবহ অভাব দেখিয়া মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, সর্বনাশের মাত্রা নির্ধারণে ঈশ্বর সাম্যবাদী নহেন, কাহারও কাহারও ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নির্দয় — তাহাদের সমস্ত বুদ্ধিই তিনি কাড়িয়া লন, কণামাত্র অবশিষ্ট রাখেন না।’’ এর পূর্বে পত্রিকাটিতে মোদী বন্দনা করে লিখিত সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছিল, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর রাজনীতি যে ক্রমেই মধ্যযুগীয় সঙ্কীর্ণ হিন্দুত্ব হইতে গুজরাটি অস্মিতার পথ পার হইয়া একবিংশ শতকের উন্নয়নের ভাষ্যে প্রবেশ করিয়াছে, তাহা অনস্বীকার্য।’’

এক.
বর্তমান জাতীয় রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদীর হঠাৎ করে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার কার্যকারণটি কি? এর পিছনে রয়েছে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কিছু প্রসঙ্গ। বিগত দুই দশকের বেশি সময় ধরে জাতীয় আর্থিক নব্য উদারনীতির প্রয়োগ ঘটে চলেছে। এর ফলে দেশব্যাপী বছরজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, বেকারী-দারিদ্র্য বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস, আয় ও সম্পদের ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, ব্যাপক দুর্নীতি প্রভৃতির ন্যায় পুঁজিবাদী ব্যাধিগুলিতে জাতীয় অর্থনীতি আজ আক্রান্ত। এতদিন পর্যন্ত জাতীয় অর্থনীতির এইসব ব্যাধিকে আড়াল করতে জিডিপি বৃদ্ধির উচ্চহার, বিদেশী মুদ্রার বিপুল সঞ্চয়, জাতীয় মুদ্রার স্থিতিশীল বিনিময় হার, বৈদেশিক বাণিজ্য ও চলতি খাতে স্বস্তিদায়ক ঘাটতি, প্রভৃতি বিষয়কে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে তথাকথিত সাফল্যের এই রঙিন চিত্রটি ফিকে হয়ে গেছে। জিডিপি বৃদ্ধির হার চলতি আর্থিক বছরে পাঁচ শতাংশের নিচে থাকবে বলে অর্থনীতিবিদের আশঙ্কা। অন্যগুলিরও একই অবস্থা। বলাই বাহুল্য যে নব্যউদারনীতির কারণে মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে, বেকারত্ব বাড়ছে সেই একই কারণে সমগ্র অর্থনীতি ভয়ঙ্কর মন্দায় আক্রান্ত। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য নব্যউদারনীতির প্রয়োগ বন্ধ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নব্যউদারনীতির প্রবক্তা দেশের দুই প্রধান শাসকদল ও তাদের বশংবদ প্রচারকদের বক্তব্য হলো যে, নব্যউদারনীতির প্রয়োগ থেকে সরে আসা নয়, এই অর্থনীতির আরও কঠোর প্রয়োগই হলো, এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ। এই কারণে বিগত দু’বছর ধরে ভারতের জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে বিদেশী পুঁজির প্রবেশকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ২৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৪৯ শতাংশ এবং টেলি কম ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করা হয়েছে। বহু পণ্যের খুচরো ব্যবসায় এক ধাপে করা হয়েছে ৫১ শতাংশ। ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ মঞ্জুর করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় ন্যূনতম দশ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে বাধ্যতামূলক। এই লক্ষ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার ৮১৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে।

কিছু দেশী-বিদেশী বৃহৎ পুঁজি এই সব ব্যবস্থায় খুশি নয়। তারা চায় দেশী-বিদেশী বৃহৎ পুঁজির নিকট জাতীয় অর্থনীতির আরও উন্মুক্তকরণ। এই কারণেই বৃহৎ কর্পোরেট হাউস স্লোগান তুলেছে ‘দেশ বাঁচাও তো নরেন্দ্র মোদী লে আও।’ তাই সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ‘ভাইব্রেন্ট গুজরাট’ বা ‘চন্মনে গুজরাট’ সম্মেলনে সকলেই মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আগামী দিনে ভারতের উন্নয়নে গুজরাট মডেলই নাকি উপযুক্ত বিকল্প। তাই সম্মেলনে ধীরুভাই আম্বানির ছোট পুত্র অনিলের মতে ‘‘নরেন ভাইয়ের রয়েছে অর্জুনের মতন লক্ষ্যভেদী দৃষ্টিভঙ্গি, তিনি নেতাদের, রাজাদের রাজা।’’ একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে মোদী বন্দনায় গদগদ হয়ে বড় ভাই বলেছেন ‘নরেনভাই, আমি কিন্তু দুটো সম্মেলনেই হাজির থেকেছি।’ আম্বানি ভাইদের মোদী বন্দনায় মুদ্ধ হয়ে রতন টাটা সানন্দায় আগে কেন আসেননি, তার জন্য নিজেই নিজেকে ‘মহামূর্খ’ বলে বিশেষিত করেছেন। রতন টাটা থেকে অনিল-মুকেশই শেষ নয়। বৃহৎ শিল্পপতিদের সংগঠন সি আই আই-র সভাপতি গোদরেজ গ্রুপের আদি গোদরেজ থেকে জিন্দাল। ইন্দো-ইউ এস বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রণ সামার্স থেকে ইউ কে-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্যাট্রিক হিউইট সবাই মোদী প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এই মিছিলে কে নেই। রয়েছেন টাটা গোষ্ঠীর সাইরাস মিস্ত্রি, মাহিন্দ্রা গ্রুপের আনন্দ মহিন্দ্রা, মাদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম মাদানি, এসার গ্রুপের চেয়ারম্যান শশী রুইয়া, এল অ্যান্ড টি’র কে ভেঙ্কটরমণ সকলে রয়েছেন। মোদীর প্রশংসায় গদগদ হয়ে গোদরেজ বলেছেন ‘‘গুজরাট শুধু দেশের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে ছোটা বিকাশমান একটি রাজ্যই নয়, সে তার গুজরাটের মডেলের উদাহরণ অনান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে দিয়েছে।’ রণ সামার্সের ভাষায় গুজরাট ‘অনিন্দ্য সুন্দর’। আর ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস বিভান- র মতে ‘‘ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরির জন্য এখানে রয়েছে শক্ত ভিত্তি। তাই পঞ্চাশটির বেশি সংস্থা এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে।’’

আম্বানি, সুনীল মিত্তালদের মতন শিল্পপতিরা তো খোলখুলিই বলে দিয়েছেন মোদীকেই তার প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান যিনি দেশকে একজন কর্পোরেট সি ই ও-র ন্যায় চালাতে পারবেন। আর এসবের জবাবে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন ‘একসময় গুজরাট ছিল গোটা দুনিয়ার দরজা গেটওয়ে। আর এখন আমার লক্ষ্য, গোটা দুনিয়ার আশ্রয় হতে পারে গুজরাট।’

দুই.
বিগত একদশক পূর্বে যিনি ছিলেন একজন কম্যুনাল ফ্যাসিস্ট, ২০০২ সালের দাঙ্গায় যার বিরুদ্ধে রয়েছে কয়েকডজন খুনের অভিযোগ, সেই তিনিই এখন ‘মডেল ডেভেলপার’ বা ‘উন্নয়নের আদর্শ’। কিন্তু কেমন আছে মোদীর গুজরাট। খুব বেশি পরিসংখ্যানে গিয়ে লাভ নেই। সম্প্রতি রঘুরাম রাজন কমিটি (বর্তমানে আরবিআই-এর গভর্নর) যা রাজ্যগুলির পশ্চাৎপদতার সূচক নির্ধারণে গঠিত হয়েছিল তার সুপারিশ প্রকাশিত হয়েছে। এই সুপারিশে দেশের ২৮টি রাজ্যকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর প্রথম অংশে রয়েছে ‘তুলনামূলক অগ্রসর’ সাতটি রাজ্য। দ্বিতীয় অংশে রয়েছে ‘কম উন্নত’ বা ‘লেস ডেভেলপ্ড’ ১১টি রাজ্য। অপর অংশে রয়েছে ‘সামান্য উন্নত’ বা ‘লিস্ট ডেভেলপড’ ১০টি রাজ্য। মোদীর গুজরাট হলো সেই এগারোটি রাজ্যের অন্যতম, যাদের বলা হয়েছে ‘কম উন্নত’ রাজ্য। এই ভাগে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

এটা ঠিক যে, গুজরাটে ২০০৪-১২ সালের মধ্যে জিএসডিপি (রাজ্যে মোট অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধি) বৃদ্ধির হার ছিল ১০.১ শতাংশ, যেখানে জাতীয় বৃদ্ধির গড় হার ছিল ৮.৩ শতাংশ। প্রকৃত ঘটনা হলো এই সময়ে মহারাষ্ট্রে (১০.৮ শতাংশ), তামিলনাডু (১০.৩ শতাংশ) এমনকি বিহারেও (১১.৪ শতাংশ) বৃদ্ধির এই হার ছিল গুজরাটের থেকে বেশি।

মোদীর পক্ষে প্রচার যতই চলুক, গুজরাট বিদেশী লগ্নীকেও তেমন আকর্ষণ করতে পারেনি। ২০০০-২০১২ সালের মধ্যে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্ণাটক, তামিলনাডুতে বিদেশী বিনিয়োগ গুজরাটের তুলনায় বেশি। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ পশ্চিমবঙ্গে ছিল ২০ হাজার টাকা, আর গুজরাটে এই পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার টাকা। ২০১১-১২ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী মানব উন্নয়ন সূচকে গুজরাটের অবস্থান দশম (০.৫২৭)। মহারাষ্ট্র (০.৫৭২) হরিয়ানা (০.৫৫২) কেরল (০.৭৯০)-র থেকে অনেক পিছিয়ে গুজরাট। পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী মাথাপিছু গণনার ভিত্তিতে গুজরাটে দারিদ্র্য মুক্তির হার মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের থেকে ভাল হলেও কেরালা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশের থেকে গুজরাট অনেক পিছিয়ে।

২০১২-১৩ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী গুজরাটে শিশু মৃত্যুর হার যেখানে হাজারে ৪১ জন, সেখানে কর্ণাটকে এই হার ৩৫ জন, কেরালায় ১২ জন, পশ্চিমবঙ্গে ৩২ জন, তামিলনাডুতে ২২, পাঞ্জাবে ৩০ জন। ক্ষুধার তালিকায় দেশের ১৭টি প্রধান রাজ্যের মধ্যে গুজরাটের স্থান এখন দশ। পাঁচ বছর বয়সী ৪৫ শতাংশ শিশুই অপুষ্টির শিকার। ৭৫ শতাংশই রক্তাল্পতায় ভোগে। ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুযায়ী গুজরাটের ৫০ শতাংশ শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ৮০ শতাংশ মহিলা রক্তাল্পতার শিকার, অবশ্য এক্ষেত্রে মোদীর যুক্তি গুজরাটের মহিলারা ডায়েটিং করে তাই তারা রক্তাল্পতায় ভোগে।

বাণিজ্য বা শিল্প বিনিয়োগের প্রশ্নে এটা ঠিক যে গুজরাট কিছুটা এগিয়ে। কিন্তু এর কৃতিত্ব কোনভাবেই মোদী দাবি করতে পারেন না। আসলে স্বাধীনতার পর থেকেই মহারাষ্ট্র (পরবর্তী কালে গুজরাট) শিল্পায়ন ও পরিকাঠামো নির্মাণে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। মোদীর আমলে আলাদা কিছু হয়নি। আমূল, আম্বানি, মাদানি, নিরমা, স্টোরেল, ক্যাডিলা, আইপিসিএল, জিএমএফসি-র ন্যায় সংস্থা মোদীর পুর্বেই ছিল। রাজকোটে যন্ত্রাংশ নির্মাণ, ডিজেল ইঞ্জিন কারখানা কিংবা সুরাট, ভবনগরে হীরে প্রক্রিয়াকরণ পূর্বেও ছিল।

তবে মোদী অন্য রাজ্যের তুলনায় যেখানে এগিয়ে আছেন তা হলো কর্পোরেট হাউসকে সুবিধা প্রদানের প্রসঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে টাটা মোটারসের ন্যানো কারখানা গুজরাটের সানন্দায় যখন যায় তখন মোদী সরকারের কাছ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি পেয়েছিল রতন টাটা। সেখানে তারা জমি পেয়েছে যার দাম প্রতি বর্গমিটার পিছু ৯০০ টাকা, অথচ এই জমির বাজার দর প্রতি বর্গমিটার পিছু দশ হাজার টাকা। এক তথ্যে বলা হয়েছে গাড়ি প্রতি ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার টাকা। শুধু টাটা কোম্পানিকেই নয়, গুজরাটে শিল্পপতিদের জলের দরে জমি দেওয়া হচ্ছে। যেমন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নুনের ব্যবসায়ীদের জন্যে হেক্টর প্রতি মাত্র ১৫০ টাকায় ৪০ হাজার হেক্টর জমি দেওয়া হয়েছে। মুণ্ডা বন্দর এলাকায় জমি দেওয়া হয়েছে আদানি গ্রুপকে। এর মূল্য হলো প্রতি বর্গমিটার এক টাকা। নভফরি কৃষি বিদ্যালয়ের বিরাট জমি বেসরকারি সংস্থার নিকট সাত তারা হোটেল বানানোর জন্য তুলে দিয়েছে। গুজরাট স্টেট পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন রাজ্য সরকারের থেকে ৪৬০০ কোটি টাকা নিয়ে শেষপর্যন্ত তা জিও-গ্লোবাল নামে এক বহুজাতিক কর্পোরেশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা পেয়েছে খনন ও উত্তোলনের অধিকার। সোয়ান এনার্জিসকে কোনোরকম টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুতের প্ল্যান্ট বেচে দেওয়া হয়েছে। এককথায় বলা চলে যে, গরিব মানুষের দারিদ্র্য দূর করতে, বা পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের অপুষ্টি থেকে রক্ষা করতে সরকারী সাহায্য মেলে না। কিন্তু বৃহৎ শিল্পপতিদের কমদামে জমি, খনি বিক্রি করতে মোদীর অর্থের অভাব হয় না। এটাই হলো ‘চনমনে গুজরাট’-এর আসল চিত্র। আর এর জন্যই বৃহৎ কর্পোরেট হাউসের নিকট মোদী ‘পোস্টার বয়’।

আর একটি কারণেও নরেন্দ্র মোদী এখন কর্পোরেট হাউসের নিকট অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছেন। কর্পোরেট হাউস জানে যে ইতোমধ্যেই নব্য উদারনীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী শ্রমিক, কৃষক, কর্মচারীদের যে লাগাতার আন্দোলন গড়ে উঠেছে, আগামী দিনে তা আরও ব্যাপক চেহারা নেবে। বিশেষত সর্বশেষ দুটি সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলির সাথে আইএনটিইউসি, বিএমএসের যোগদান এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তাই এই ঐক্যবদ্ধ শ্রেণী ও গণআন্দোলন দমনে কর্পোরেট হাউসের প্রয়োজন ইংল্যান্ডের মার্গারেট থ্যাচারের ন্যায় একজন ‘জবরদস্ত প্রশাসক’, যিনি গত শতাব্দীর আশির দশকে কয়লাখনির শ্রমিকদের ধর্মঘটকে রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিয়েছিলেন।

২০০২ সালে গুজরাটে সংখ্যালঘু নিধন যজ্ঞে নরেন্দ্র মোদীর যে হিংস্রতা, বর্বরতা দেশবাসী দেখেছেন আগামী দিনে দেশের শ্রমিক আন্দোলনকে ধ্বংস করতে কর্পোরেট হাউস তাকে ব্যবহার করতে চায়। এই কারণেও নরেন্দ্র মোদী এখন কর্পোরেট হাউসের নিকট প্রিয় হয়ে উঠেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত শতাব্দীর তিরিশের দশকে অনেকটা এইরকমভাবে ফ্যাসিস্ট হিটলারের পিছনে জার্মানির শিল্পপতিরা সমবেত হয়েছিল। কিন্তু তার শেষ পরিণতি সকলের জানা। তথাপি একথা ঠিক যে, নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করতে হিন্দুত্ববাদী ব্যক্তি ও কর্পোরেট হাউস যেভাবে সোচ্চার হয়েছে এবং বেশকিছু বিশিষ্টজন (যেমন লতা মঙ্গেশকার, বাপি লাহিড়ী প্রমুখ) যেভাবে একে সমর্থন করছেন, ভারতীয় রাজনীতির পক্ষে তা এক অশনিসঙ্কেত। কিন্তু আমরা জানি ইতিহাস বড় নির্মম, নিষ্ঠুর। কাউকেই সে ক্ষমা করে না। তাই নরেন্দ্র মোদীর পূর্বপুরুষ হিটলার, মুসোলিনী, তেজো বা ইন্দোনেশিয়ার সুহার্তো, চিলির পিনোচেত, পর্তুগালের সালজাডের স্থান হয়েছে ইতিহাসের ডাস্টবিনে। নরেন্দ্র মোদীদের ন্যায় নেতাদেরও ঐটিই হবে ভবিষ্যৎ ঠিকানা।
প্রণব চট্টোপাধ্যায়: ভারতের সাংবাদিক
এখানে প্রকাশিত সব মতামত লেখকের ব্যক্তিগত, নতুন বার্তা ডটকম’র সম্পাদকীয় নীতির আওতাভুক্ত নয়।

http://www.natunbarta.com/opinion/2014/02/05/67035/%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%80+%E0%A6%AE%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B2:+%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%BE+%E0%A6%93+%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF+%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0+%E0%A6%98%E0%A7%83%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%AF+%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3

No comments:

Post a Comment